শনিবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৫, ০২:৫৭ অপরাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক:শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে তাসমিয়া (৩) শিশুর কানের পর্দা যন্ত্রের সাথে তুলে ফেলার অভিযোগ উঠেছে। এতে ওই শিশুটির কানের শ্রবন শক্তি চিরতরে নষ্ট হয়ে গেছে।
বুধবার (২০ মার্চ) এ ঘটনায় শরীয়তপুরের আদালতে একটি অভিযোগ দায়ের করেছে ভুক্তভুগি পরিবার। আদালত অভিযোগটি আমলে নিয়ে পালং মডেল থানাকে মামলা হিসেবে গ্রহনের নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে (১২ মার্চ) শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ওই শিশুটিকে নেয়া হলে প্রাইভেট চেম্বার হাজী শরীয়তউল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার ক্লিনিকে ভর্তি করানো পরে এই ঘটনাটি ঘটে।
অভিযুক্ত ডাক্তার মিজানুর রহমান (৪৮) শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের নাক, কান ও গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন চিকিৎসক।
ভুক্তভোগি পরিবার ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, (১০ মার্চ) সদর উপজেলার তুলাশার গ্রামের মো সানাল মিয়ার মেয়ে তাসমিয়া (৩) বাড়িতে খেলা করছিল। এসময় খেলার ছলে ডান কানের মধ্যে সিমের বিচি ঢুকে যায়। পরবর্তিতে (১২মার্চ) ওই শিশুটিকে নিয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের শিশু চিকিৎসক ডা. মিজানুর রহমানের কাছে যায় পরিবারের সদস্যরা। তখন হাসপাতালে এ চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্র না থাকার অযুহাতে তার প্রাইভেট চেম্বার হাজী শরীয়তউল্লাহ জেনারেল হাসপাতাল এন্ড ডায়াবেটিক সেন্টার ক্লিনিকে নিতে বলেন। সেখানে নেওয়ার পরে মেডিকেল যন্ত্রপাতি ব্যবহার না করে লোহার সরু লম্বা শালাকা ব্যবহার করে কানের ভিতর থেকে বিচি বের করার চেষ্টা করেন। এরপর না বের হওয়ায় আবারও চিমটা দিয়ে বের করতে গেলে শিশুটির কানের ভিতর থেকে মাংসের টুকরা বের করে আনা হয়।(১৫ মার্চ) আবার শিশুটির কান থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণ শুরু হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় রেফার্ড করা হয়। পরে ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে শিশুটি ভুল চিকিৎসায় শ্রবন শক্তি হরিয়ে ফেলেছে বলে চিকিৎসকরা জানায়।
এ ঘটনায় শিশুটির পিতা ও মামলার বাদি শরীয়তপুর জর্জ কোর্টের এ্যাডভোকেট মো সানাল মিয়া বলেন, মিজান ডাক্তারের ভূলে আমার মেয়ের কান সারাজীবনের জন্য নষ্ট হয়ে গেছে। সে আর কখনো কান দিয়ে কিছু শুনতে পাবে না বলে চিকিৎসকরা জানিয়ে দিয়েছে। আমার এই অবুঝ শিশুর এই ঘটনা ঘটানোর জন্য ওই ডাক্তারের বিচার চেয়ে মামলা করেছে।
এ ঘটনার পরে অভিযোগ ওই চিকিৎসক ডা মিজানুর রহমান হাসপাতাল ছেড়ে ২ দিনের ছুটিতে চলে গেছেন। মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, এসব অভিযোগ মিথ্যা। কোন ডাক্তার রোগীর ক্ষতি চায় না। ছুটি থেকে এসে এনিয়ে কথা বলবেন বলে জানান তিনি।
এ বিষয়ে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে তত্বাবধায়ক বলেন, এসব বিষয়ে অামাদের কাছে কেউ এসে অভিযোগ জানায়নি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply